ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উসমানিয়া গ্লাস শীটের সমস্যা প্রকট হচ্ছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন জটিলতায় রয়েছে। সময়ের ব্যবধানে তা আরও প্রকট হচ্ছে। কোম্পানিটির উৎপাদনের জন্য দুটি চুল্লির মধ্যে ১টি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে অকেজো হয়ে পড়েছে। আর অগ্নিকান্ডে বাকিটি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত লোকসানের মাধ্যমে কোম্পানিটি এখন দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় আর্থিক সমস্যায় ভুগছে।

কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, উসমানিয়া গ্লাসের দুই চুল্লিতে কোম্পানিটির ২ কোটি ১ লাখ স্কয়ার ফিট পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। তবে বাজার চাহিদা কম হওয়ায় অতিরিক্ত মজুদ পণ্য জমা হয়ে গেছে। যে কারনে ৬৭ লাখ স্কয়ার ফিট উৎপাদন ক্ষমতার ১ নম্বর চুল্লি ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বন্ধ রয়েছে। এখন ওই চুল্লি মেরামত (ওভারহোলিং) করা ছাড়া পূণ:রায় চালু করা যাবে না।

এদিকে ২০২০ সালের ২৩ জুন ২ নম্বর চুল্লিতে বড় ধরনের অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ২ নম্বর চুল্লিটি ১ বছরের বেশি সময় বন্ধ রাখা হয়। একইসঙ্গে কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সমস্যায় ভুগছে। প্রতিযোগিদের তুলনায় উসমানিয়া গ্লাসের সেকেলে পদ্ধতিতে উৎপাদন করে থাকে। যে কারনে বিক্রি মূল্য থেকে উৎপাদন ব্যয় বেশি হচ্ছে। এরফলে কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটি বড় ধরনের পরিচালন লোকসান গুণছে এবং পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাড়িঁয়েছে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যে কোম্পানিটি দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় বড় ধরনের আর্থিক সংকটে ভুগছে।

এই পরি্স্থিতিতে সরকারের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনায় খুবই শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

তারপরেও কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট সেকেলে শীট গ্লাসের পরিবর্তে কনটেইনার গ্লাস উৎপাদনের জন্য একটি নতুন প্রকল্প করতে বাজার জরিপ ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। তবে এর অগ্রগতি খবুই ধীর হওয়ায় নিকট ভবিষ্যতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের অনিশ্চয়তা রয়েছে।

সরকার নিয়ন্ত্রিত উসমানিয়া গ্লাসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যার ৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ঋণাত্মক রিজার্ভ রয়েছ। তারপরেও ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির শেয়ার মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে দাড়িঁয়েছে ৬২.৬০ টাকায়।

এ কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬.৬৬ টাকা। নিয়মিত লোকসানে থাকা কোম্পানিটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে থেকে।

আরও পড়ুন…….
২০ কোটি টাকার সম্পদ বেশি দেখিয়েছে ডেসকো

বিজনেস আওয়ার/১৯ জানুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “উসমানিয়া গ্লাস শীটের সমস্যা প্রকট হচ্ছে

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

উসমানিয়া গ্লাস শীটের সমস্যা প্রকট হচ্ছে

পোস্ট হয়েছে : ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন জটিলতায় রয়েছে। সময়ের ব্যবধানে তা আরও প্রকট হচ্ছে। কোম্পানিটির উৎপাদনের জন্য দুটি চুল্লির মধ্যে ১টি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে অকেজো হয়ে পড়েছে। আর অগ্নিকান্ডে বাকিটি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত লোকসানের মাধ্যমে কোম্পানিটি এখন দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় আর্থিক সমস্যায় ভুগছে।

কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, উসমানিয়া গ্লাসের দুই চুল্লিতে কোম্পানিটির ২ কোটি ১ লাখ স্কয়ার ফিট পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। তবে বাজার চাহিদা কম হওয়ায় অতিরিক্ত মজুদ পণ্য জমা হয়ে গেছে। যে কারনে ৬৭ লাখ স্কয়ার ফিট উৎপাদন ক্ষমতার ১ নম্বর চুল্লি ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বন্ধ রয়েছে। এখন ওই চুল্লি মেরামত (ওভারহোলিং) করা ছাড়া পূণ:রায় চালু করা যাবে না।

এদিকে ২০২০ সালের ২৩ জুন ২ নম্বর চুল্লিতে বড় ধরনের অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ২ নম্বর চুল্লিটি ১ বছরের বেশি সময় বন্ধ রাখা হয়। একইসঙ্গে কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সমস্যায় ভুগছে। প্রতিযোগিদের তুলনায় উসমানিয়া গ্লাসের সেকেলে পদ্ধতিতে উৎপাদন করে থাকে। যে কারনে বিক্রি মূল্য থেকে উৎপাদন ব্যয় বেশি হচ্ছে। এরফলে কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটি বড় ধরনের পরিচালন লোকসান গুণছে এবং পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাড়িঁয়েছে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যে কোম্পানিটি দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় বড় ধরনের আর্থিক সংকটে ভুগছে।

এই পরি্স্থিতিতে সরকারের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনায় খুবই শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

তারপরেও কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট সেকেলে শীট গ্লাসের পরিবর্তে কনটেইনার গ্লাস উৎপাদনের জন্য একটি নতুন প্রকল্প করতে বাজার জরিপ ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। তবে এর অগ্রগতি খবুই ধীর হওয়ায় নিকট ভবিষ্যতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের অনিশ্চয়তা রয়েছে।

সরকার নিয়ন্ত্রিত উসমানিয়া গ্লাসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যার ৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ঋণাত্মক রিজার্ভ রয়েছ। তারপরেও ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির শেয়ার মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে দাড়িঁয়েছে ৬২.৬০ টাকায়।

এ কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬.৬৬ টাকা। নিয়মিত লোকসানে থাকা কোম্পানিটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে থেকে।

আরও পড়ুন…….
২০ কোটি টাকার সম্পদ বেশি দেখিয়েছে ডেসকো

বিজনেস আওয়ার/১৯ জানুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: